হুগলীর বৈদ‍্যবাটীতে বাজারে ভীড় সামলাতে প্রহরী

25th April 2020 হুগলী
হুগলীর বৈদ‍্যবাটীতে বাজারে ভীড় সামলাতে প্রহরী


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : বৈদ্যবাটী পৌরসভার  ১১ নং ওয়ার্ডের  নেতাজী স্কুলের সামনে সবজি বাজার ও মাছ বাজার রয়েছে। মাছ, মাংস, সবজি ও অনান্য দোকান মিলিয়ে প্রায় ৬০ টি  দোকান আছে মিনি বাজারে। প্রত্যেকদিন বাজার বসার কারনে সকাল থেকে ক্রেতাদের ভীড় উপছে পরে । লকডাউনের কারনে বাজারে  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে গোটা বিশ্ব। প্রশাসনের পক্ষ থেকে  বাজার কমিটির সাথে বৈঠক করা হয়। ঠিক হয় সবজি বাজারটি সরিয়ে বসানো হবে  স্কুল মাঠে । সেই মোত কয়েক দিন সবজি বাজাকে সরিয়ে বসানো হয়ে ছিল পাশেই নেতাজীস্কুল মাঠে। তখন বাজারের ভীড় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও পূনরায় আবার সবজি বাজার উঠে চলে আসে একই জায়গায়।বিভিন্ন এলাকার বাজার বন্ধ থাকায় সকাল হলেই ভীড় সামলানো দায় হয়ে পরে ছিল মিনিবাজার কমিটির। প্রশাসনকে জানানো হয় বিষয়টি। পুলিশ বাজারে এলে সমাজিক দূরত্ব  মানছে, চলে গেলে সামাজিক দূরত্ব শিকেয় উঠে যাচ্ছে। মিনি বাজার কমিটি শনিবার থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চার জনের একটি টিম তৈরী করেছে। বাজার কমিটির সদস্য রাজেস কুন্ডু বলেন স্থানীয় চার যুবককে বাজারের ভীড় নিয়ন্ত্রণ করতে কাজে লাগানো হয়েছে। বাজারে প্রবেশ করার সামনে বাজার চলাকালিন বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হবে। কুড়ি জনের বেশী বাজারে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না পাশাশাশি মাস্ক না পরে এলে বাজারে প্রবেশ করা যাবে। দেখা গেছে বহু মানুষ সামনে থেকে বাজারে আসার সময় সাইকেল এবং বাইক নিয়ে আসছে। সাইকেল, বাইক নিয়ে বাজারে প্রবেশ করা যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসানো হবে সবজি ও মাছের দোকান।আগামী দিনে চেষ্টা চলছে বয়স্ক পরিবারের বাড়িতে নিত্যপ্রয়োজন জিনিষ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। তারাতারি বাজার করে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। 
 ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমন রুখতে সরানো হয়েছে শেওড়াফুলি পাইকারী বাজার।হুগলী জেলার সব থেকে বড় পাইকারি  বাজার  হল শেওড়াফুলি বড় বাজার।শেওড়াফুলি স্টেশন লাগোয়া  সেই পাইকারি বাজারে কেনাবেচায় ভীর সামাল দেওয়া যাচ্ছিল না।জেলার সব পুরসভা ও কয়েকটি পঞ্চায়েতকে করোনা সংক্রমিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করেছে হুগলি জেলা প্রশাসন।তাই যেসব বাজারে সেটা খুচরো হোক বা পাইকারী তাকে ফাঁকা জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।শ্রীরাপুর পুরসভা এলাকার সব বাজারকে বন্ধ করে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।শেওড়াফুলি বাজারকে সরিয়ে শেওড়াফুলি  সুপার মার্কেট কৃষক বাজারে পাঠানো হয়।লকডাউনে শেওড়াফুলি পাইকারি বাজারে সামাজিক দূরত্ব কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না।অথচ গ্রামাঞ্চল থেকে চাষীরা ফসল নিয়ে বিক্রি করতে আসেন তেমন পাইকাররা সব্জি কিনতে আসেন শেওড়াফুলিতে।পোলবার সুগন্ধায় গোটু পাইকারী বাজার থেকে এক ব্যাক্তি করোনা সংক্রমিত হয়েছেন বলে সন্দেহ প্রশাসনের।তাই শুক্রবার সকাল থেকে শেওড়াফুলি বাজারকে কৃষক বাজারের ফাঁকা জায়গায় বসানো হয়। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ  দাঁড়িয়ে থেকে সামাজিক দূরত্ব বজার রেখে পাইকার ও চাষীদের বেচাকেনা করতে বলে।।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।